আসালামু আলাইকুম আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। মধু হচ্ছে প্রাকৃতিক উপাদান, যা পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য বহু প্রাচীনকাল থেকে ব্যাবহার হয়ে আসছে।আমাদের জন্য প্রকৃতির অসাধারণ উপহার হচ্ছে মধু , যা স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য এবং রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । এটি প্রাকৃতিক, নিরাপদ এবং কার্যকর উপাদান । তবে খাঁটি মধু ব্যবহার এবং সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন জীবনে মধু অন্তর্ভুক্ত করে সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করা সম্ভব। মধু  প্রাকৃতিক শক্তি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণসম্পন্ন।

মধুঃ

মধু হল মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রাকৃতিক নিয়ামত বা এ্যান্টিবায়োটিক । যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় ৷ মধুতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ আমাদের শরীরে তৎক্ষনাৎ এনার্জি যোগাযে সাহায্য করে  ৷ এছাড়া মধুতে রেয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ লবণ ইত্যাদি ৷

এছাড়া ও পবিত্র হাদিস শরিফে মধু সম্পর্কে প্রচুর রেওয়ায়েত আছে। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর মতে সকল পানীয় উপাদানের মধ্যে মধু সর্বোৎকৃষ্ঠ। মধু ৯৯ প্রকার রোগের প্রতিষেধক। কারণ, মধু রোগব্যাধি শেফা দানে এক অব্যর্থ মহৌষধ।

মধুর পুষ্টি উপাদান:

মধু একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি খাদ্য এবং এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ১০০ গ্রাম মধু থেকে পাওয়া যায়-

  • শক্তি (ক্যালরি): ৩০৪ ক্যালরি।
  • শর্করা: ৮২.৪ গ্রাম (প্রধানত গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ)।
  • প্রোটিন: ০.৩ গ্রাম।
  • পটাশিয়াম: ৫২ মিলিগ্রাম।
  • ক্যালসিয়াম: ৬ মিলিগ্রাম।
  • ফসফরাস: ৪ মিলিগ্রাম।
  • ম্যাগনেসিয়াম: ২ মিলিগ্রাম।
  • আয়রন: ০.৪২ মিলিগ্রাম।
  • ফাইবার: ০.২ গ্রাম।
  • পানি: ১৭.১ গ্রাম।
  • ভিটামিন সি: ০.৫ মিলিগ্রাম।
  • বি-ভিটামিন (বি৬, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন) অল্প পরিমাণে।মধুর উপকারিতা:

পুষ্টিগুণ এর দিকটি বিবেচনা করে যদি আমরা খাবারের একটি তালিকা করি, সে তালিকার প্রথম সারিতেই থাকবে ‘মধু’র নাম। এটি শরীরের জন্য উপকারী এবং নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগবালাই থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব । এটি বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:

মধুতে আছে  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি বিভিন্ন জীবাণুজনিত সংক্রমণ থেকে  শরীরকে রক্ষা করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।

শক্তি সরবরাহকারী:

 মধু শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। মধুতে  প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ) রয়েছে , যা দ্রুত শক্তি জোগায়। এটি শারীরিক পরিশ্রমের পর ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

ওজন কমাতে সহায়ক:

মধুতে কোনো চর্বি নেই।মধু শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। সকালে কুসুম গরম পানিসঙ্গে মধু এবং লেবু মিশিয়ে পান করলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

হজমের উন্নতি:

মধু প্রাকৃতিক ভাবেই মিষ্টি। মধু হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। এটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ও বদহজমের সমস্যার সমাধান করে।

ত্বকের যত্ন:

প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে মধু। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে, ব্রণ কমায় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল রাখে। মধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে থাকে ।

গলা ব্যথা ও সর্দি-কাশি নিরাময়ে উপকারী:

মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এবং গলা ব্যথা ও সর্দি-কাশি থেকে দ্রুত আরাম দিয়ে থাকে। এটি শ্বাসতন্ত্রকে আরাম দেয় এবং কফ কমায়।

ক্ষত ও জখম সারাতে সহায়ক:

মধুতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ । এটি ক্ষত বা পোড়া জায়গায় ব্যবহার করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস:

মধু রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে  ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে , হৃৎপেশিকে সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

মানসিক প্রশান্তি:

মধু মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণ বাড়িয়ে থাকে , যা মানসিক চাপ কমায় এবং ঘুমের মান উন্নত করে। রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু খেলে ঘুম ভালো হয়।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি:

মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি মানসিক স্বচ্ছতা ধরে রাখতে ও সাহায্য করে।

অ্যালার্জি প্রতিরোধ:

মধু নিয়মিত সেবন মৌসুমি অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এটি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বার্ধক্য প্রতিরোধ:

মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বার্ধক্যের প্রক্রিয়া ধীর করে এবং ত্বক তারুণ্য ধরে রাখতে পারে ।

চুলের যত্ন:

মধু চুলের শুষ্কতা দূর করে, চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। এটি চুলে প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসে।

পেটের আলসার নিরাময়:

মধু হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম হয় , যা পেটের আলসারের প্রধান কারণ।

সংক্রমণ প্রতিরোধ:

 মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও জোগান দেয়। মধুতে আছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক:

মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট্য শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয় এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কম করে।

পানিশূন্যতায়: 

ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।

তাপ উৎপাদনে: 

মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। শীতের ঠান্ডায় এটি শরীরকে গরম রাখে। এক অথবা দুই চা–চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও তাজা থাকে।

মধু খাওয়ার উপযুক্ত নিয়ম:

সারাদিনের যেকোন সময়েই মধু পান করা যাই। আপনি দিনের যেকোনো সময়ে যখনই ক্লান্ত অনুভব করবেন মধু খেলে তৎক্ষণাৎ প্রশান্তি পাবেন এবং শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি যোগাবে।

তবে মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সকালে খালি পেটে মধু পান করা। এতে অধিক উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আপনি সকালে খালি পেটে কয়েক চামচ মধু  নিয়ে খেতে পারেন কিংবা মধু দিয়ে শরবত তৈরি করেও পান করতে পারেন। শরবতে লেবুর রস, চিয়া সিড এগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

মধু খাওয়ার বিশেষ তেমন কোন নিয়ম নেই বললেই চলে। তবে অবশ্যই নিয়মিত মধু পান করা সর্বোত্তম৷ এতে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম অনেক শক্তিশালী হবে । পাশাপাশি যে উপকারিতাগুলি পাবেন সেগুলিও দৃশ্যমান হবে। আপনি পূর্বের থেকে অবশ্যই ভাল অনুভব করবেন । এই পর্যায়ে আপনাদের জন্য আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম গুলি তুলে ধরা হলো –

  • প্রতিদিন সকালে ১-২ চা চামচ মধু সরাসরি খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।
  • মধু শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে । রোজ সকালে কুসুম গরম পানির সাথে ১ – ২ চা চামচ মধুর সঙ্গে হালকা লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করবেন । এতে আপনার শরীরের মেদ কমবে ।
  • কাঁচা ছোলার ভিজিয়ে রেখে এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত দূর হবে।
  • আমরা ব্রেড বা রুটির সাথে জেলি কিংবা নসিলা এর পরিবর্তে মধু খেতে পারি ৷ এটি খেতে বেশ সুস্বাদু। পাশাপাশি অধিক এনার্জী পাওয়া যাবে ৷
  • চায়ের সঙ্গে চিনি এর পরিবর্তে মধু পান করতে পারেন ৷ চিনিকে বলা হয়ে থাকে ‘হোয়াইট পয়জন’। এটি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ৷ 
  • দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন ৷ এটি খুবই উত্তম একটি পানীয় ৷ তবে অবশ্যই দুধ গরম থাকা অবস্থায় এতে মধু দিবেন না । তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে তখন মধু মিশিয়ে খাবেন ৷
  • আমরা অনেকেই জানি কালোজিরা হল সকল রোগের মহা ঔষধ। অল্প পরিমান কালজিরার সাথে ১ চা চামচ মধু নিয়মিত পান করুন। এতে অনেক জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন ইনশা আল্লাহ।
  • মধু এবং লেবুর শরবত খুবই উত্তম পানীয়। মধুতে বিদ্যমান খাদ্য উপাদানগুলি শরীরে তৎক্ষণাৎ শক্তি যোগায়এবং শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
  • যারা কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভুগছেন তারা ১ মগ পানিতে ২ চা চামচ ইসুফগুলের ভুসি এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খালি পেটে কয়েকদিন পান করলে ভাল সুফল পাবেন।
  • রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যায় মধু বিশেষ উপকারী। যাদের এই সমস্যা তারা মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত কিছুদিন খেতে পারেন। এতে আপনার রক্তনালীর সমস্যা দূর করবে। এমনকি রক্তে বিদ্যমান খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে খাঁটি মধু।
  • সর্দি-জ্বর নিরাময়ের জন্য তুলসি পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে খুবই ভাল কার্যকারিতা অনুভব করবেন।
  • তবে রান্নায় সরাসরি মধু ব্যাবহার করা যাবে না। খাবারে মধু মিশিয়ে মিষ্টি করতে রান্না শেষ হবার পরে তাতে মধু মিশিয়ে নিন।
  • ফুটন্ত পানি কিংবা দুধে সরাসরি মধু যোগ করা যাবে না। পানি বা দুধ পানযোগ্য তাপমাত্রায় আসলে তারপর এতে মধু যোগ করতে হবে ।
  • যেসকল বাচ্চাদের বয়স ১ বছর বা ১২ মাসের কম, তাদের কোন ক্রমেই মধু খেতে দেয়া যাবে না৷ কারণ ১ বছরের কম বয়সে বাচ্চাদের পরিপাকতন্ত্র পুরোপুরি সুগঠিত থাকে না৷ বাচ্চার বয়স ১২ মাস হওয়ার পরে, দৈনিক অল্প পরিমাণে মধু খওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে৷
  • মধু দিয়ে গাঁজানো রসুন এর মিশ্রণ তৈরি করে প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন এবং এক চা-চামচ মধু সেবন করুন। এতে আপনার ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন নিরাময়, রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমানো, ইত্যাদিতে  বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময়:

সারাদিনের যেকোন সময়েই মধু পান করা যাই। আপনি দিনের যেকোনো সময়ে যখনই ক্লান্ত অনুভব করবেন মধু খেলে তৎক্ষণাৎ প্রশান্তি পাবেন এবং শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি যোগাবে।

তবে মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সকালে খালি পেটে মধু পান করা। এতে অধিক উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আপনি সকালে খালি পেটে কয়েক চামচ মধু  নিয়ে খেতে পারেন কিংবা মধু দিয়ে শরবত তৈরি করেও পান করতে পারেন। শরবতে লেবুর রস, চিয়া সিড এগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

কোন মধু স্বাস্থের জন্য সবচেয়ে উপকারি?

সব মৌসুমের খাঁটি মধুতেই রয়েছে প্রায় একই গুণাগুণ ৷ সাধারণত মৌসুম ভেদে মধুর স্বাদ, ঘ্রাণ এবং ঘনত্বের পরিবর্তন হয়  ৷ কিন্তু বাজারে পাওয়া যায় এমন সব ধরণের মধুই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারে নাও হতে পারে  । খোলা বাজারে যে সমস্ত মধু পাওয়া যায় তার অধিকাংশই ভেজাল অথবা নকলহয়ে থাকে৷ আবার কমার্শিয়াল হানিগুলো সাধারণত মেশিনের মাধ্যমে প্রসেস করে বাজারজাতকরণ হয় , এর ফলে মধুর প্রাকৃতিক গুনাগুণ হ্রাস পায়। আর আমরা সবাই জানি, মধু আমাদের জন্য যেমন খুবই উপকারী তেমনি ভেজাল বা নকল মধু আমাদের শরীরের জন্য ততটাই অপকারী ।

তাই সবসময় চেষ্টা করা উচিত প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ভাল মানের  মধু পান করতে, এতে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। আর মধু যত টাটকা খেয়ে নেয়া যায় ততই ভাল।

পরিশেষে :

বলা যাই যে, নিয়মিত মধু খেলে প্রাকৃতিক ভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। আলাদা করে কোন ওষুধ সেবন করার প্রয়োজন হয় না বললে চলে । তবে মধু সেবন করার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করাও উচিৎ । অতিরিক্ত হারে মধু সেবন করা কোনভাবেই কাম্য নয়। নিয়মিত পরিমিত আকারে মধু সেবন করা উচিৎ তাহলেই কেবল প্রত্যশিত ফল পাওয়া সম্ভব।

 

Write A Comment