আসসালামু আলাইকুম আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। ব্যাংকের চাকরি বিভিন্ন কারণে তরুণদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে ভালো সুযোগ সুবিধা, সুগঠিত , দ্রুত পদোন্নতি, বেতন কাঠামো ও সামাজিক পরিমণ্ডলের ইতিবাচক গ্রহণযোগ্যতা অন্যতম। যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করে ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার গড়ার হাতছানিসহ ব্যাংকারদের সুশৃঙ্খল পরিপাটি জীবন তরুণদের প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে তুলেছে ।
শুধু ব্যাংকিং, ফিনান্স, ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি বা ব্যবসাসংক্রান্ত বিষয়ই নয়, বিজ্ঞান, কৃষি প্রকৌশলসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত বিষয়ে ডিগ্রিধারীরাও ঝুঁকে পড়ছেন ব্যাংকের এই চাকরির দিকে। এজন্য গত এক দশকে আমাদের দেশের বেকারত্বের হার মোটামুটি ৪ থেকে ৫ শতাংশর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ব্যাংকের চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা বহু গুণ বেড়ে গেছে । অপরদিকে প্রযুক্তির ব্যবহার, ঝুট-ঝামেলা ছাড়া অনলাইনভিত্তিক লেনদেন ব্যাংকিং কার্যক্রমে নিয়ে এসেছে আমূল পরিবর্তন। ফলে অন্য যেকোন সময়ের চাকরির চেয়ে ব্যাংকের চাকরি এখন বেশ এগিয়ে রয়েছে । স্মার্ট পেশা হিসেবেও বাড়ছে এর তুমুল জনপ্রিয়তা।
ব্যাংকের চাকরি:
বর্তমানে বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি, সরকারি ও বেসরকারি, ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক ও বিশেষায়িতসহ মোট ৬৬টি ব্যাংক রয়েছে। চাকরি প্রত্যাশীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ব্যাংকগুলো বছর জুড়েই বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকেন । ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্বাবধানে সমন্বিত নিয়োগ ছাড়াও বেসরকারি ব্যাংকগুলোও নিয়মিত লোক নিয়ে থাকে। আবার নিয়োগ পরীক্ষাও যথাযথ নিয়মে হয়। স্বভাবতই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীদের বাড়তি চাপ থাকে। বিশেষত বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে চাকরি পেতে আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ভাইভা পর্যন্ত আবেদনকারীকে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়। ফলে প্রস্তুতিটাও থাকা চাই জমপেশ।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য:
অনেকের মনেই বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। যেমন – বাংলাদেশে বর্তমানে কতগুলো ব্যাংক আছে, এরমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা কত ইত্যাদি। এই পর্যায়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো সম্পর্কে।
সরকারি ব্যাংক :
বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক পরিচালিত ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। এই সরকারি ব্যাংকগুলো হল:
- অগ্রণী ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- রূপালী ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- বেসিক ব্যাংক
- বাংলাদেশ ডেভলাপমেন্ট ব্যাংক
উল্লেখিত এই ৬ টি ব্যাংক বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব বণিজ্যিক ব্যাংক যার সম্পুর্ণ বা অধিকাংশ মালিকানাই বাংলাদেশ সরকারের হয় ।
বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংক :
বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বমোট ৪৩ টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে যার বেশিরভাগই বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন রয়েছে । এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৩৩ টি ব্যাংক গতানুগতিক ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করে এবং ১০ টি ব্যাংক ইসলামী শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করে থাকে । এছাড়াও রয়েছে ৪ টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৯ টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৫ টি অতালিকাভূক্ত ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের চাকরির খবর পেতে নিয়মিত ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইটের Career পেইজে এবং সংবাদপত্রে চোখ রাখতে হয় । এ ক্ষেত্রে ব্যাংক ভেদে পরীক্ষার সময় ও নম্বর বণ্টনে তারতম্য দেখা যায়।
চাকরির জন্য যোগ্যতা :
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সাবেক সদস্য সচিব জানান আবেদনের জন্য যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর বা চার বছর মেয়াদি স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) থাকতে হবে। মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ে কমপক্ষে দুটি প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি থাকতে হবে । কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি থাকা চলবে না। এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশিত ফলের ক্ষেত্রে জিপিএ ৩.০০ বা তার বেশি হলে প্রথম বিভাগ, জিপিএ ২.০০ থেকে ৩.০০ এর কম হলে দ্বিতীয় বিভাগ ধরা হবে।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৪ পয়েন্ট স্কেলে সিজিপিএ ৩.০০ বা বেশি হলে প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি, ২.২৫ বা তার বেশি কিন্তু ৩.০০ এর কম দ্বিতীয় বিভাগ হিসেবে ধরা হবে। পয়েন্ট স্কেল ৫ হলে ৩.৭৫ বা এর ওপরে প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি, ২.৮১৩ থেকে বেশি কিন্তু ৩.৭৫ এর কম দ্বিতীয় বিভাগ বা শ্রেণি ধরা হবে। বয়স সীমা অনূর্ধ্ব ৩০ বছর।
প্রস্তুতি শুরু হোক :
আবেদন করার পরই প্রস্তুতি শুরু করব ভেবে বসে থাকলে হবে না । কারণ বর্তমানে ব্যাংকে চাকরি পেতে দরকার হয় দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি ও কৌশলী লেখা পড়া। বিষয়ভিত্তিক ও নিয়মমাফিক পড়াশোনা করতে পারলে অল্প সময়ে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। তাই যাদের লক্ষ ব্যাংকার হতে চান তাদের উচিত স্নাতক পর্যায় থেকেই প্রস্ততি শুরু করা। আর যাদের স্নাতক শেষ, তারা সময়ের দিকে না তাকিয়ে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই শুরু করতে হবে । এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে, শুরু কিভাবে করব?
এই বহু নির্বাচনী পরীক্ষার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটার ব্যবস্থা রয়েছে । ফলে যে বিষয়ে ভালো, পরীক্ষায় সেখান থেকেই উত্তর করা শুরু করুন। বাংলা-ইংরেজি উভয় অংশ থেকেই ২০টি করে প্রশ্ন থেকে থাকে । বাংলার সাহিত্য অংশ থেকে অধিকাংশ প্রশ্ন এলেও ইংরেজিতে সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দসহ ব্যাকরণ অংশের ও প্রাধান্য থাকে। অ্যানালজি, বাক্যে ভুল নির্ণয়, বাক্য সম্পূর্ণকরণ, বাংলায় বানান বা বাক্য শুদ্ধিকরণ, প্রবাদ প্রবচন, বাগধারা, সন্ধি, সমাস, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, এক কথায় প্রকাশ থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। সহজ প্রশ্নে দ্রুত উত্তর দিয়ে সময় সাশ্রয় করা বুদ্ধিমানের কাজ।
পরীক্ষা পদ্ধতি
সাধারণত ব্যাংকগুলো তিন ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে থাকে । প্রথমে বহু নির্বাচনী প্রশ্নোত্তর পর্ব এটাতে পাশ করলে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে সুযোগ মিলে মৌখিক পরীক্ষার অংশ গ্রহণে । চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়া যায় মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক ভেদে পরীক্ষার সময় ও নম্বর বণ্টনে তারতম্য দেখা যায়।
বহু নির্বাচনী পরীক্ষায় :
বহু নির্বাচনী পরীক্ষায় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। কথায় আছে বহু নির্বাচনী পরীক্ষা চাকরি প্রার্থীদের জন্য টিকে থাকার লড়াই, আর নিয়োগকর্তাদের কাছে বাদ দেওয়ার পদ্ধতি। এই অংশে আশানুরূপ ফল পেতে দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি, সচেতনতা ও তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন । এ বিষয় ‘বহু নির্বাচনী পরীক্ষার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটার ব্যবস্থা। ফলে যে বিষয়ে ভালো, পরীক্ষায় সেখান থেকেই উত্তর করা শুরু করুন। বাংলা-ইংরেজি উভয় অংশ থেকেই ২০টি করে প্রশ্ন থাকবে । বাংলার সাহিত্য অংশ থেকে অধিকাংশ প্রশ্ন এলেও ইংরেজিতে সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দসহ ব্যাকরণ অংশের বেশি প্রাধান্য থাকে।
অ্যানালজি, বাক্যে ভুল নির্ণয়, বাক্য সম্পূর্ণকরণ, বাংলায় বানান বা বাক্য শুদ্ধিকরণ, প্রবাদ প্রবচন, বাগধারা, সন্ধি, সমাস, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, এক কথায় প্রকাশ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। সহজ প্রশ্নে দ্রুত উত্তর দিয়ে সময় সাশ্রয় করা বুদ্ধিমানের কাজ। আনুপাতিক ভাবে গণিতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে। গণিত ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট মিলে এ অংশ থেকে মোট ৩০টি প্রশ্ন থাকে। সাধারণ গণিতের পাশাপাশি গাণিতিক বিশ্লেষণী ক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট অংশে গ্রাফ, ছক, টেবিল বা বর্ণনা দেওয়া থাকে, তা থেকে উত্তর দিতে হয়ে থাকে । আগে থেকেই ক্যালকুলেটর ছাড়া অঙ্ক সমাধানের অনুশীলন করলে পরীক্ষার সময় অসুবিধা হয় না।
লিখিত পরীক্ষা :
লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়ে থাকে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান থেকে। বাংলায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়তে হবে। জানতে হবে কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে ।
ইংরেজিতে গ্রামার অংশে Tense, Parts of speech, Verb, Translation, Number, Gender, Voice Change ,Narration, Correct Form of Verbs, Pronunciation, Synonym, Antonym, Transformation of Sentence, Appropriate Word, Idioms and Phrases থেকে প্রশ্ন আসতে পারে । এগুলোর সঙ্গে অনেক vocabulary শিখতে হয় অনেক ।
গণিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্য বই অনুসরণ করতে হবে। সুদকষা, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত, সমানুপাত, শতকরা, লসাগু-গ সাগু, লাভ-ক্ষতি, ভগ্নাংশ, লগারিদম থেকে প্রশ্ন আসে । দেখতে হবে বীজগণিতের সূত্র, অনুসিদ্ধান্ত, জ্যামিতি ও পরিমিতির সাধারণ নিয়মাবলীগুলো।
সাধারণ জ্ঞানের জন্য নজর রাখতে হবে সমসাময়িক বিষয়ের ওপর। জানতে হবে ব্যাংকিং সেক্টরের হালনাগাদ সকল তথ্য। সঙ্গে জানতে হবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আলোচিত বিষয় সম্পর্কেও । পড়তে হবে ভালোমানের সাধারণ জ্ঞানের বই, দৈনিক পত্রিকা ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মাসিক সাময়িকী। এ ছাড়া দেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি), রপ্তানি ধারা, প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স, রিজার্ভ, কৃষি পরিস্থিতি, দারিদ্র্য হ্রাস, শ্রমবাজার, বিনিয়োগ পরিস্থিতি প্রভৃতি অগ্রগতির তথ্য টুকে রাখুন, লিখিত অংশে কাজে লাগবে।
ভাইভা পরীক্ষা:
পরিশীলিত, পরিপাটি, অকপটভাবে ভাইভা বোর্ডে নিজেকে উপস্থাপন করতে হলে বিষয়ভিত্তিক ধারণাটা স্পষ্ট থাকা দরকার । তাহলে আত্মবিশ্বাসটাও ফুটে উঠবে। নিজের পরিচয়, শিক্ষা, বাড়তি পারদর্শিতা, আগ্রহ-এগুলো সহজভাবে নিজের মতো করে তুলে ধরতে পারলেই অর্ধেক কাজ হয়ে গেল।
ভাইভার কোনো নির্দিষ্ট গণ্ডি নেই। স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের বিষয়ের ওপর প্রশ্ন হয়ে থাকে । এ ছাড়া ব্যাংক রিলেটেড প্রশ্নও করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করা হয় আপনি কেন ব্যাংকে চাকরি করতে এসেছেন? আপনাকে নিয়োগ দিলে ব্যাংকের কী লাভ হবে? এত প্রার্থী থাকতে আপনি কেন? আপনার মধ্যে কী কী গুণরয়েছে? আপনার দুর্বল দিক কী? আপনার জেলার দর্শনীয় স্থান, বিখ্যাত খাবার জানতে চাইতে পারে খ্যাতিমান মানুষের নাম, এলাকার মুক্তিযুদ্ধের তথ্য। এছাড়া নিয়মিত পত্রপত্রিকা পড়তে হবে। নিজেকে আপডেট রাখতে হয় । প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সহজ ও সাবলীল ভাষায় দিতে হবে। বাংলায় প্রশ্ন করলে বাংলায় এবং ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে ইংরেজিতে উত্তর দিতেহয় । তাহলে আর দেরী না করে শুরু হয়ে যাক স্মার্ট পেশার স্মার্ট প্রস্তুতি।
পরিশেষে:
বলা যাই যে ,আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যেকোনো চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করতে হলে ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা অনেক গুরুত্বপুর্ণ। তবে শিক্ষা ব্যবস্থার নানা ত্রুটির কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ইংরেজি বিষয়ে ভালো ভিত্তি করতে পারে না। পরবর্তীতে একাডেমিক জীবনে এবং চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ও তারা ইংরেজির বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়। তবে মনোবল আত্মবিস্বাস না থাকলে বড়ো কোনো লক্ষে পৌঁছানো যায় না।