বাংলাদেশ মৌসুমী জলবায়ু হওয়াই অধিক সময় গরম কাল স্থায়ী থাকে। তাই খাদ্য পণ্য সংরক্ষণের প্রয়োজন। দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সহজ করতেপ্রতিটি মানুষের কাছে ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর একান্ত প্রয়োজন। তাই প্রতিদিনকার খাবার সংরক্ষণের দায়িত্বে ঘরে যদি একটি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর থাকে তাহলে তো থাকা যায় একেবারে নিশ্চিন্তে। শুধুমাত্র দেশীয় পণ্য হিসেবেই নয়, ওয়ালটন ফ্রিজ এখন বিশ্ব বাজারের সেরা রেফ্রিজারেটরগুলোর মধ্যে একটি। সেরা ডিজাইন সমৃদ্ধ টেকসই ওয়ালটন ফ্রিজ কিনলে দীর্ঘকাল ধরে থাকা যায় দুশ্চিন্তামুক্ত ও ঝামেলাহীন।
ওয়ালটন:
আমাদের দেশের সুপারব্র্যান্ড হচ্ছে ওয়ালটন। দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের প্রায় ৩০ মডেল ও ৬৫ কালারের ফ্রিজ, ১২টি মডেলের মোটরসাইকেল, ৩৫ মডেলের মোবাইল ফোনসেট এবং ৫ মডেলের জেনারেটরসহ এলসিডি, এলইডি, থ্রিডি, সিআরটি টিভি, মাইক্রোওয়েভ, ওভেন, গৃহাস্থালি পণ্য রয়েছে। সম্প্রতি ৮৫ ইঞ্চি সাইজের স্মার্ট এলইডি টিভিও এনেছে ওয়ালটন কোম্পানি । আমরা খুব সহজে কিস্তিতে কিভাবে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনতে পারবো তা আজ এই আটিকেলে জানবো।
ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে দাম কত:
কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনলে কত টাকা লাগবে এই প্রশ্ন আপনার মনে আসতেই পারে। আমরা এখন সে বিষয়ে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করবো। আপনি যদি ৪মাস মেয়াদী কিস্তিতে ফ্রিজ কিনে থাকেন তাহলে ফ্রিজ নগদ ক্রয় মূল্য যে টাকা প্রয়োজন আপনি সেই মূল্য দিয়ে ফ্রিজ নিতে পারবেন। এছাড়াও ৩, ৬, ১২, ২৪ এবং সর্বোচ্চ ৩৬ মাস সুবিধায় ওয়ালটন পণ্য কিস্তিতে কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে ফ্রিজের দাম নির্ভর করবে আপনি কত দিন মেয়াদী কিস্তির উপর ফ্রিজ ক্রয় করবেন।
আবার আপনি যদি ৬, ১২ এবং ২৪ মাসের কিস্তিতে ফ্রিজ কিনেন তাহলে ওয়ালটন ফ্রিজের নির্ধারিত মূল্যের ৮ থেকে ১২ % টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হবে। তবে আপনি কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা এতিমখানায় জন্য ওয়ালটন থেকে পণ্য ক্রয় করেন সেক্ষেত্রে ওয়ালটন যেকোনো পণ্য ০ (শূণ্য) টাকা ডাউনপেমেন্টে ১২ মাসের বিশেষ কিস্তি সুবিধায় ক্রয় করতে পারবেন।
কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রয়ের সুবিধাসমূহ:
৩মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩৬ মাস পর্যন্ত কিস্তির সুবিধা।
৪ মাস পর্যন্ত নগদ মূল্যে ক্রয় করার সুবিধা রয়েছে ।
সর্বনিম্ন ১০% টাকা ডাউন পেমেন্ট করে ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রয় করা যাবে।
কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা এতিমখানায় জন্য যেকোনো পণ্য ক্রয়ে ০% (শূণ্য) টাকা জমা দিয়ে মাসের কিস্তিতে পণ্য ক্রয় করা যাবে।
ক্যাশ টাকা, মোবাইল ব্যাংকিং, কার্ড পে (ডেবিট, ক্রেডিট) এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধের সুবিধা রয়েছে।
ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
কিস্তিতে ফ্রিজ বা পণ্য ক্রয়ের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু নিয়ম নীতি থাকে। তেমনি ওয়ালটন থেকে পণ্য কিনতে কিছু নিয়মনীতি অনুসর করতে হবে। কিস্তিতে ফ্রিজ কেনার জন্য অবশই নিচের কাগজপত্র ও জামিনদার প্রয়োজন হয় । এছাড়াও আপনার নিকটস্থ যেকোনো ওয়ালটনে শোরুম থেকে কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ বিষয়ে যোগাযোগ করলে ওয়ালাটন প্রতিনিধি আপনাকে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে সহায়তা করবে।
- পণ্য ক্রয়কারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে ।
- পণ্য ক্রয়কারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি লাগবে ।
- পরিচিত ২ জন জামিনদার লাগবে ।
- জামিনদারের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি দিতে হবে ।
- নমিনি ১ জন (পরিবারের সদস্য)
- নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি দিতে হবে ।
কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার শর্ত:
কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানী বিভিন্ন ধরনের শর্ত দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি ওয়ালটনের ফ্রিজ কিস্তিতে কিনতে চান তবে অবশ্যই ওয়ালটনের দেওয়া শর্তগুলো আপনাকে মানতে হবে। ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার জন্য যে শর্ত প্রযোজ্য তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
- প্রতি মাসের কিস্তি প্রতি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্য পরিশোধ করতে হবে।
- যদি ক্রেতা কোন কারণে কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয় তবে জামিনদারের তা পরিশোধ করতে হয় ।
- পণ্য ক্রয় করার পরের মাস থেকে রেগুলার কিস্তি প্রদান করতে হবে।
- একটি কিস্তি চলাকালীন অবস্থায় ওয়ালটনের নতুন কোন পন্য কিস্তিতে ক্রয় করতে পারবে না।
- উপরে ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার শরতাবলী দেওয়া রয়েছে। তাই যদি আপনি এই মুহূর্তে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিস্তিতে কিনতে চান। তবে আপনাকে অবশ্যই উপরের দেওয়া শর্তগুলো মেনে তারপর ওয়ালটনের শোরুম থেকে কিস্তিতে ফ্রিজ কিনতে পারবেন ।
ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার নিয়ম :
আপনি যদি এই মুহূর্তে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার চিন্তা করে থাকেন। তবে আজকের পোস্টের এই অংশটুকু আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন । কেননা আজকের এই পোস্টের এই অংশে আমি ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার নিয়ম ২০২৪ বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। কিস্তিতে ওয়ালটনের ফ্রিজ কেনার কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে।
কিস্তিতে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনতে হলে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র নিয়ে ওয়ালটনের যেকোন আউটলেটে বা শোরুম এ গেলেই কিস্তির মাধ্যেমে আপনি ফ্রিজ কিনতে পারবেন। আপনি যে ফ্রিজ-টি কিনবেন তার বর্তমান দামের উপর নির্ভর করে ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনা যাবে।
আপনি কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনতে চান তবে এই নিয়ম কানুনগুলি অব্যশই মেনে ফ্রিজ ক্রয় করতে হবে। যদি আপনি ফ্রিজ কিনতে চান তবে ৩, ৬, ১২ এবং ২৪ মাসের কিস্তিতে ফ্রিজ কিনতে পারবেন। যদি আপনি ৩ মাসের কিস্তিতে ফ্রিজ কেনেন তবে অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হবে না।
আর আপনি যদি ওয়ালটনের ফ্রিজগুলো ৬ মাস কিংবা ১২ মাসের জন্য কিস্তিতে ক্রয় করেন। তবে ৮ থেকে ১২ % টাকা মূল টাকার অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও ক্রেতারা ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে পন্য ক্রয় করার সুযোগ রয়েছে। সাধারণত ডাউন পেমেন্টগুলো ২০% থেকে শুরু হয়ে থাকে।
ওয়ালটন ফ্রিজ ১৬ সেফটি দাম ২০২৪:
ওয়ালটনের একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন ফ্রিজ হলো ওয়ালটন ফ্রিজ ১৬ সেফটি। এই মডেলের ফ্রিজটিতে অনেক ধরনের কালার রয়েছে এখান থেকে আপনি আপনার মতো পছন্দ করতে পারেন। ওয়ালটন ফ্রিজ ১৬ সেফটি দাম ৪৪৩২০ টাকার মত। তবে যদি আপনি কিস্তিতে ক্রয় করেন তবে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম হবে ৪৭৮৬৫ থেকে ৪৯৬৪০ টাকার মত।
ওয়ালটন ফ্রিজ ১৩ সেফটি দাম ২০২৪:
ওয়ালটনের আরও একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন ফ্রিজ হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ ১৩ সেফটি। এই মডেলের ফ্রিজগুলোও বিভিন্ন কালারের দেখা যাই । এখানে আপনি আপনার পছন্দমত কিনতে পারেন। ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যেই এই ফ্রিজ পেয়ে যাবেন । যদি আপনি কিস্তিতে এই ফ্রিজগুলো ক্রয় করেন তবে মাসিক কিস্তিতে ফ্রিজগুলো কিনতে পারবেন।
আরো পড়ুন :টিন সার্টিফিকেট তৈরি করার নিয়ম।
পরিশেষে :
বলা যায় যে ,বাজারের অন্যন্য ব্রান্ডের ফ্রিজগুলোর তুলনায় ওয়ালটন বেশ ভালোমানের যা ফ্রিজ কাস্টমারদের প্রভাইড করছে। ওয়ালটনের ফ্রিজগুলো দামে ও কোয়ালিটিতে অনেক ভালো হয়ে থাকে । সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকে আমি আপনাদের সাথে ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার নিয়ম ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করেছি।
আপনারা যারা এই গরমে একটি ফ্রিজ কেনার কথা ভাবছেন খাবার সংরক্ষণ করার জন্য তারা চাইলে ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কিনতে পারবেন। যদি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের কাছে তথ্যবহুল মনে হয় তবে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।