প্রিয় পাঠক আসসালাম আ’লাইকুম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন। আজকে ভিটামিন- ই ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।  ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।বাজারে এখন  ভিটামিন- ই ক্রিম পাওয়া যায় যা ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক সুন্দর হয় এছাড়া আরো অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।

ভিটামিন ই ক্রিম এর উপকারিতা :

আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন- ই ক্রিম  আমাদের ত্বকের জন্য  অনেক উপকারিত।ভিটামিন -ই ক্রিম এর উপকারিতা অনেক বলে শেষ হয় না। ভিটামিন -ই ক্রিম ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ক্রিম। আপনি যদি ভিটামিন- ই ক্রিম অরিজিনাল টি ব্যবহার করেন  তাহলে অবশ্যই এর উপকারিতা পাবেন। এর জন্য  অবশ্যই  আপনাকে ভিটামিন -ই ক্রিম ভালোভাবে দেখে অরিজিনাল টা কিনতে হবে।

আপনার বয়স যেটাই হোক না কেন যদি আপনি  আপনার ত্বকের লাবণ্যময় এবং ত্বক আরো বেশি নরম ও ত্বকে মশ্চারাইজিং করতে  চান তাহলে আপনার কাছে একটি উপায় আছে সেটা হচ্ছে “ভিটামিন-ই ক্রিম ব্যবহার করা। 

ভিটামিন -ই ক্রিমের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না তার মধ্যে এমন কিছু উপকারিতা রয়েছে সে গুলো না বললেই নয়। সাধারণত অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে সতেজতা ফিরিয়ে আনতে ভিটামিন -ই ক্রিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এর পাশাপাশি শরীরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এবং শরীরে যে কোনো দাগ গভীর ভাবে মুছে ফেলতে ভিটামিন -ই ক্রিম অত্যন্ত উপকারী ।

ভিটামিন ই ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম:

  • মুখে কোনও ক্ষতচিহ্ন থাকলে তার উপশম ভিটামিন -ই করে।  অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর ভিটামিন -ই ত্বকের ক্ষত নিজে থেকে সেরে ওঠার ক্ষমতাকে আরও জোরদার করে। ভিটামিন- ই ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দ্রুত ক্ষতচিহ্ন সারিয়ে তোলে।
  • ভিটামিন -ই বলিরেখা সারাতে  অত্যন্ত কার্যকরী। ভিটামিন -ই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের বয়স বাড়তে দেয় না। ভিটামিন -ই ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু সারিয়ে ত্বককে  কোমল, সুন্দর করে তোলে ।
  • মুখে ছোপ ছোপ  দাগ বা ত্বকের রং সব জায়গায় সমান করতে একমাত্র ওষুধ হলো ভিটামিন -ই।মুখে দাগছোপ বা ত্বকের রং সব জায়গায় সমান না হলেও একমাত্র ওষুধ ভিটামিন -ই। ত্বকের কোনও অংশে মেলানিন বেশি জমে গেলে সেই অংশের রং  কালো দেখায়। ত্বকের কালো অংশে ভিটামিন -ই ক্রিম লাগালে তা ধীরে ধীরে হাইপারপিগমেন্টেশন কমিয়ে ত্বকের রং স্বাভাবিক করে তোলে। 
  • ভিটামিন-ই ক্রিম এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরকে মসৃণ করতে সাহায্য করে
  • সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে  ভিটামিন -ই ক্রিম সাহায্য করে । মুখে সানস্ক্রিন লাগানোর আগে ভিটামিন -ই ক্রিম মেখে নিন। ভিটামিন- ই যুক্ত সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন।
  • ভিটামিন -ই ক্রিম ত্বক শুকনো হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সাধারণ ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার দিয়ে তা কমানো যায় না।এমন ক্ষেত্রে ভিটামিন -ই ক্রিম ত্বকে সরাসরি মেখে নিন শুস্ক ত্বক থেকে রক্ষা পাবেন ।

ভিটামিন-ই ক্রিম ব্যবহারের সময় :

সাধারণত শীতের সময় বাংলাদেশের ভিটামিন-ই ক্রিম বেশি ব্যবহার হয় তবে যে সকল দেশ শীত প্রধান দেশ সেই সকল দেশে বারো মাস এই ক্রিম ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে  বাংলাদেশের আবহাওয়াতে ১২ মাস ভিটামিন-ই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এবং যেকোনো ধরনের ত্বকে এই ক্রিম ব্যবহার করা যায়।

এই ক্রিম এর সুফল ঠিকঠাক ভাবে পেতে হলে আপনাকে অন্তত দিনে তিনবার সময় মত এই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। দিনের শুরুরতে  আমরা যখন বাইরে বের হই তখন অবশ্যই ভিটামিন-ই ক্রিম ব্যাবহার করলে সূর্যে থাকে আসা  অতিবেগুনি রশি থেকে ভিটামিন-ই ক্রিম আমাদের ত্বক রক্ষা করবে এবং এর পাশাপাশি আমাদের শরীর আরো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।

এছাড়া দুপুরে গোসলের পর  আমরা যদি ভিটামিন-ই ক্রিম ব্যবহার করি সেটা আমাদের ত্বকের  জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ক্রিম হবে। 

ভিটামিন-ই ক্রিম ব্যবহার করার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে । আমরা সকলে জানি যে ,ঘুমানোর সময়টুকু আমাদের শরীর  রিল্যাক্সে থাকে এবং সেই সময়ে আমরা যদি  ভিটামিন-ই ক্রিম ত্বকে ব্যাবহার করে  ঘুমাতে যায় তাহলে  সবথেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন :ত্বক তৈলাক্তর কারণ ও তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়

পরিশেষে  

বলা যাই যে , এই ভিটামিন-ই ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত দেখা যায় নি। তবে যাদের অ্যালার্জিক রিএকশন হয় তাদের ক্ষেত্রে আলাদা বা ব্যতিক্রমহতে পারে । আপনি যদি  আপনার শরীরের মশ্চারাইজিং ২৪ ঘন্টা বা ৪৮ ঘন্টা ধরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ ভিটামিন-ই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

Write A Comment