আসসালামু আলাইকুম আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। তৈলাক্ত ত্বক অথবা স্কিন অয়েল যায় বলি না কেন, এটা নারী পুরুষ সকলেরই এই বড় সমস্যা ।চিরস্থায়ী তৈলাক্ত ত্বকের সঙ্গে লড়াই করা দৈনন্দিন জীবনে সত্যিই কঠিন হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের কারণে আবার পরবর্তীকালে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায় ।আজকে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব ,তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করা ও ত্বকে তেল স্বাভাবিক ব্যালেন্সে আনার উপায় সম্পর্কে।
তৈলাক্ত ত্বক :
সকলেরই অল্প অল্প করে তৈলাক্ত ত্বক থাকে। স্বাভাবিক মাত্রায় ত্বকের তৈলাক্ততা ত্বককে কোমল রাখে। কোনো কারণে এর উৎপাদন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হলে ত্বকের উপর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করে। আমাদের শরীরে ভিটামিন বি-২ এবং বি-৫-এর ঘাটতি থাকলে ত্বকের তৈলাক্ততা আরো বেড়ে যেতে পারে।
আবার আমাদের চুল এবং ত্বকে সেবেসিয়াস গ্রন্থি নামক গ্রন্থি রয়েছে যেগুলি থেকে সিবাম বের হয়, যার অতিরিক্ত উৎপাদন ত্বককে শুষ্ক ও মসৃণ করে তোলে। ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়।
ত্বক তৈলাক্তর কারণ :
প্রতিটি মানুষেরই তার সৌন্দর্যের জায়গা হচ্ছে তার ত্বক। আর সবাই চাই তার ত্বক সুন্দর ও মসৃন থাকুক । যাদের তৈলাক্ত ত্বক গরমকালেই তাদের এই সমস্যাটা বেশিরভাগ যায়। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের ঘুম থেকে ওঠার পর পুরো ফেস তেল তেলে হয়ে যায়, আবার কারো নাকের গড়ায়ও তেল জমে আর এই তেল যদি ত্বকে নিয়মিত জমে তাহলে এক পর্যায়ে তোকে, ব্রণ পিম্পল, এলার্জি সহ বিভিন্ন স্পট পড়ে। বিভিন্ন কারণে ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে –
ত্বক পরিষ্কার না করলে :
আমাদের ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। তোকে ময়লা ধুলো বালির কারণে ও ত্বকে তেল জমে।
খারাপ ডায়েট তৈলাক্ত ত্বকের কারণ:
একটি সুস্থ শরীর এবং উজ্জ্বল মুখের পিছনে রয়েছে আমাদের সুষম খাদ্য এবং কঠোর শৃঙ্খলা। এই শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে ও খাবারে অবহেলা হয়, তখন স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে এবং মুখও শুকিয়ে যাবে। বেশি তেল-মশলা যুক্ত খাবার খেলে ত্বক তৈলাক্ত হয়। ডায়েটিশিয়ানের মতে, চর্বিযুক্ত ও অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়।
কিছু ওষুধ খেলেও ত্বক তৈলাক্ত হয়:
ঘন ঘন গর্ভনিরোধক ওষুধ মহিলাদের ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। এই স্টেরয়েড ত্বককে তৈলাক্ত করে। এটি ত্বককে ডিহাইড্রেট করে, যা ত্বকে অতিরিক্ত চর্বি তৈরি করে।
বয়ঃসন্ধিকালে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়:
বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয় 9 থেকে 10 বছর বয়সে। শরীরে অনেক হরমোনের পরিবর্তন হয়। এই হরমোনের কারণে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায় ।
হরমোনের পরিবর্তন ত্বককে তৈলাক্ত করে:
এই গ্রন্থি 15 থেকে 35 বছর বয়সে সবচেয়ে সক্রিয়। মেডিকেল পরিভাষা যাকে সেবোরিয়া বলা হয়। এটি ত্বকের চর্বি গ্রন্থি গুলির একটি ত্রুটি। এটি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। যৌন হরমোন এই গ্রন্থি গুলিকে আরও সক্রিয় করে তোলে। বিশেষ করে এন্ড্রোজেন পুরুষদের ক্ষেত্রে, টেস্টোস্টেরন এই গ্রন্থিগুলিকে সক্রিয় করতে ভূমিকা পালন করে থাকে । মহিলাদের মধ্যে প্রোজেস্টেরন এবং অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে, তারা PCOS-এর প্রবণতা দেখা দেয় , যা তৈলাক্ত ত্বকের কারণ হয়।
প্রসাধনীর অত্যধিক ব্যবহারেও ত্বক তৈলাক্ত হয়:
প্রতিদিনের মেকআপে থাকাটা যদি আপনার বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে, তাহলে জেনে নিন এটিও তৈলাক্ত ত্বকের অন্যতম বড় কারণ হয়ে থাকে । কিছু প্রসাধনী আছে যেগুলোতে ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে কঠোর রাসায়নিক যুক্ত করা হয়। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলিকে আটকে রাখে, যা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে দেয় এবং ত্বক তৈলাক্ত হয় ।
স্ট্রেস তৈলাক্ত ত্বকের কারণ
একজন মানুষ যখন মানসিক চাপে থাকে, তখন কর্টিসল নামক একটি বিশেষ রাসায়নিক নির্গত হয়, যা ত্বকে অতিরিক্ত তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আর এই কারণেই তৈলাক্ত ত্বকের মানুষ একটু মানসিক চাপ নিলেই ব্রণ হয়ে যায়।
তৈলাক্ত ত্বক দূর করার উপায়:
তৈলাক্ত ত্বক দূর করার জন্য আমাদের নিয়মিত পানি দিয়ে ত্বক ও মুখ ভালোভাবে ধোয়া। তারপরে পানি বেশি করে খাওয়া বেশি করে পানি খেলে যদি হরমোনালি সমস্যা থাকে সেটা অনেকটা কন্ট্রোলে আসে। আর বাইরে থেকে এসে অবশ্যই আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। কারণ ত্বকে বাইরে থাকা ধুলোবালি ত্বকে লেগে থাকে আর ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর ।
এই সব ধুলোবালি থেকেই স্কিনে তেল জমে। তাই বাহির থেকে এসে অবশ্যই আপনার ত্বক সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কম করে দিনে তিনবার ত্বক ধুয়ে নিতে হবে । আমরা অনেকেই আছি যে ঘুমানোর আগে মুখ ধুয়ে নেই না। কিন্তু আমাদের সবারই উচিত ঘুমানোর আগে এবং থেকে উঠে ত্বক সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলা। এর ফলে আপনার মুখে কোন জীবাণু থাকে না আর আপনার ত্বককে তৈলক্ত মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা হওয়ার উপায় :
যারা তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করতে চান তারা নিয়মিত আপনার মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করে ধুবেন। চিকিৎসা শাস্ত্রে ,ডাক্তার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যক্তিকে হরমোন লিখে দেন ও থেরাপি দেন। এছাড়া অনেক ধরনের ত্বকের চিকিৎসা যেমন বোটক্স, লেজার ইত্যাদি দেওয়া হয়।আবার আয়ুর্বেদ চিকিৎসায়ও এর চিকিৎসা করা হয়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রসাধনী ব্যবহৃত হয়। তবে ঘরয়া কিছু উপকরণ দিয়ে আমরা খুব সহজেই আমাদের ত্বক ফর্সা করতে পারি। নিচে দেয়া হলো –
(১)পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম:
ঘুম শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী । ২৪ ঘন্টার ভিতর কমকরে ৬-৭ ঘন্টা একটানা ঘুমানো উচিত। বেশি রাত জাগলে স্কিন ড্যামেজ হয়ে যায়। চোখের নিচে কালো দাগ পরে,স্কিন ও কালো হয়ে যায়।তাই স্কিন ভালো রাখতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।
(২)প্রচুর পরিমাণে পানি করা:
পানির অপর নাম জীবন আর কেবলমাত্র এই পানি আমাদের জীবনই বাঁচায় না এর পাশাপাশি আমাদের শরীরের ত্বকও সুরক্ষা করে।ত্বক ভালো রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।দিনে কমকরে ৪-৫ লিটার পানি অবশ্যই পান করা উচিত।
(৩)সপ্তাহে একদিন ত্বকের যত্ন:
অনন্ত সপ্তাহে একদিন নিজের যত্ন নিন।আপনি দিনের পর দিন যদি নিজের যত্ন না নেন এবং ত্বকের পরিচর্চা না করেন তাহলে আপনার ত্বক কালো হয়ে যাবে। তাই ব্যস্ততার ভিতরেও নিজের জন্য সপ্তাহে একদিন সময় রাখুনএবং ত্বকের যত্ন করেন ।
(৪)রাতে ত্বকের যত্ন:
সারাদিন আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন রাতে আপনার ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। সারাদিনের ধুলা , বালি,ময়লার আপনার ত্বকের ক্ষতি করবে এবং আপনার স্কিন খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে বুড়িয়ে যাবে,ট্যান পরবে।
সব থেকে ভালো হয় আপনি ত্বকে ক্লিনজিং করে নিলে।সামাণ্য পরিমা গোলাপজল একটি টিস্যু প্যাডে নিয়ে তা দিয়ে আপনার মুখ মুছে নেওয়া তারপর আপনার স্কিনে স্যুট করে এমন একটি ফেস ওয়াশ ব্যবহার করে পরিষ্কার করা।
আপনার স্কিনের বাড়তি যত্ন না নিতে পারলেও প্রতিদিন আপনি এই নিয়ম গুলো অবশ্যই রুটিন হিসেবে রাখবেন তাহলে আপনার স্কিন সহজে ড্যামেজ বা কালো হয়ে যাবে না। এই বেসিক কিছু ধারণা আপনাদের ত্বক হেলদি রাখতে ও ফ্রেশ রাখতে সাহায্য করবে। কারণ আপনি বিভিন্ন স্কিন কেয়ার করছেন কিন্তু আপনার খাওয়া, ঘুম সব কিছু অনিয়মের ভিতর তাহলে আপনার স্কিন কেয়ারে ভালো ফলাফল পাবেন না।
ঘরোয়াভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়:
ত্বকের যত্নের জন্য পার্লারে যেয়ে মোটা টাকা খরচ করলে ত্বক ভালো হবে এ ধারণা একদমই ভুল।ঘরে বসেই প্রকৃতিক আর ঘরোয়া উপাদান দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের যত্ন ভালোভাবে নিতে পারেন।যেমন –
(১)ন্যাচালার স্ক্রাব স্কিন কেয়ার:
মুখের ময়লা তুলার জন্য সপ্তাহে একদিন অবশ্যই স্ক্রাব করতে হবে ।মুখের ময়লা গুলো লোমকুপে জমে মুখে ব্রণ,এলার্জি সহ বিভিন্ন দাগ ও মেছতা তৈরি করতে পারে । এজন্য ত্বকে স্ক্রাব খুবই জরুরি।
- মধু, লেবু,চিনির স্ক্রাব:
এক/দুই চামচ মধু,এক চামচ লেবুর রস,এক চামচ চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন।
- টমেটো, কফি, চিনির স্ক্রাব :
টমেটো মাঝ বরাবর গোল করে কেটে তাতে কাটা চামচ দিয়ে দুই তিন টা ছিদ্র করে কফি আর চিনি ঢুকিয়ে মুখে ভালো ভাবে আলতো মেসেজ করে স্ক্রাব করে নিন।তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
- চালের গুড়া,দুধ /চালের গুড়া, টক দই:
চালের গুড়া আর টক দই মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। প্যাকটি যেন খুব বেশি পাতলা বা খুব বেশি শুকনো না হয়।
স্ক্রাব করার সময় মুখ বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না।তাতে স্কিনের ক্ষতি হতে পারে। আলতো হাতে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
(২)ন্যাচালার ত্বকের ফেস প্যাক:
সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন ত্বকে ফেস প্যাক ব্যবহার করা উচিত।একভাবে একই রকম ফেসপ্যাক ব্যবহার না করে কয়েকদিন পর পর ফেস প্যাক চেঞ্জ করা উচিত যাতে করে স্কিনের উপকারি সব উপাদান স্কিনের ভিতর পুষ্টি যোগাতে পারে।
- টমেটো,লেবুর ফেস প্যাক:
টমেটো স্কিন ফর্সা করতে খুবই কার্যকারি একটি উপাদান।১টি টমেটো ব্লেন্ড করে তার সাথে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।টমেটো ব্লেন্ড করতে ঝামেলা মনে হলে বা সময় না পেলে একটি টমেটোর মাঝখানে কেটে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে সারা মুখে ঘষে নিতে পারেন।
- মুলতানি মাটি ,এ্যালোভেরা জেলের ফেস প্যাক:
মুলতানি মাটির গুঁড়ার সাথে এ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ১০/১৫ মিনিট মুখে দিয়ে তারপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এই প্যাক ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে।
- টমেটো,হলুদের ফেস প্যাক:
একটা টমেটো পেস্টের সাথে এক চিমটি হলুদ গুড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি রেগুলার ব্যবহার করলে স্ক্রিন খুব দ্রুত ফর্সা হবে এবং স্কিন খুব উজ্জ্বল হবে।
- চন্দন গুড়া,হলুদ গুড়াও মধুর ফেস প্যাক:
মধুর সাথে চন্দন পাউডার আর একনচিমটি হলুদ মিস্ক করে ফেস প্যাক বানিয়ে সারা মুখে দিয়ে ১৫/২০ মিনিট পর্যন্ত রেখে ধুয়ে নিতে হবে।
- পেঁপেঁ,মধুর ফেস প্যাক:
পাকা পেঁপেঁ পেষ্ট করে তার সাথে এক চামচ মধু মিক্স করে প্যাক বানিয়ে ব্যাবহর করতে পারেন। পেঁপেঁ স্কিনের ময়লা দূর করে স্কিন ফর্সা করতে সাহায্য করে।
- ডিমও লেবুর রসের ফেস প্যাক:
রুপচর্চায় ডিম খুবই কার্যকারি উপাদান ।বাজারে বিভিন্ন ধরনের এগ মাস্ক পাওয়া যায় যা খুবই জনপ্রিয়।তাই রুপচর্চাতে ডিম বাদ দেওয়া যাবে না। একটি ডিমের সাদা অংশ এবং ১/২ চা চামুচ লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ১৫/২০ মিনিট মুখে ভালো ভাবে প্রলেপ দিয়ে নিতে হবে।এরপর প্যাকটি শুকিয়ে গেলে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
- গোলাপ পানি, লেবু ও মধু ফেস প্যাক:
গোলাপ জল রুপচর্চার জন্য প্রধান উপাদান।গোলাপ জল,মধু,লেবু এক সাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এটাও ত্বক ফর্সা করার খুব কার্যকারি একটা প্যাক।
- টকদই,মধু,লেবুর ফেস প্যাক:
দুই চামচ টক দই,এক চামচ মধু,এক চামচ লেবুর রস দিয়ে হোয়াইটেনিং প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন ।টকদই স্ক্রিনের ময়লা দূর করতে স্কিন ব্রাইট করতে সাহায্য করে।
- এ্যালোভেরা জেল,গোলাপজল,হলুদ গুড়া:
এ্যালোভেরা পাতা ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে ভিতর থেকে জেল বের করে তার সাথে গোলাপ জল, হলুদ গুড়া মিক্স করে ব্যবহার করতে পারেন
আরো পড়ুন :ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ এবং কালো দাগ দূর করার সহজ ঘরোয়া উপায়
পরিশেষে :
বলা যাই যে ,এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে সেটা যদি অনুসরণ করেন তাহলে আশা করি অবশ্যই আপনি তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাবেনএবং আপনার ত্বক ফর্সা হবে। তবে ফর্সা মানেই যে সুন্দর ব্যাপার এমনটা নয় ।ফ্রেশ, হেলদি,দাগ মুক্ত স্কিন একটা ফর্সা আনহেলদি স্কিনের থেকে অনেক ভালো।